ভুটান ভ্রমণ পরিকল্পনা | Bhutan Tour Plan

Bhutan Tour Plan
রাতের আলোকিত থিম্পু-জং

কাছের বিদেশ ভুটান ভ্রমণ | Bhutan Travel Guide

এবার আসি সমগ্র ভুটান প্রসঙ্গে যাতে ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে সুবিধা হবে। যেখানে বা যে দেশে হিমালয় আছে তা ঠিক বিদেশ বলে মনে হয় না। ভুটান ও এমন একটা দেশ যেখানে খুব সহজেই ভারতীয়রা ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারেন শুধু ভোটার কার্ড আর পাসপোর্ট সাইজ ছবি যথেষ্ট অনুমতিপত্রের জন্য। যদিও ইদানিং ভুটান ভ্রমণে ভারতীয়দের ওপরও কিছু কড়াকড়ি বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে, তাতে ভ্রমণের খরচও তুলনামূলকভাবে বাড়বে।

আমরা বড়োদিনের সময় গিয়েছিলাম আর এই সময় থিম্পু , পারো, পুনাখায় খুব ভিড় ছিলো তাই অনুমতিপত্র পেতে বেশ দেরী হয়েছিল। অনুমতিপত্র হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই থিম্পুর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে দুপুর গড়িয়ে গেল। 


রাজধানী শহর থিম্পুর পথে | Way to Thimphu the Capital of Bhutan

ভুটানের রাজধানী শহর থিম্পু। থিম্পুর উচ্চতা ৭০০০ ফুট। ফুন্টশেলিং থেকে থিম্পুর দূরত্ব প্রায় ১৭২ কিমি, অনেকটা পাহাড়ি পথ পেরিয়ে সময় লাগে প্রায় ৭-৮ ঘন্টা। তাই ঠিক করলাম ফেরার পথে খারবন্দি গুম্ফা দেখে নেবো। ফুন্টশেলিং থেকে খারবন্দি গুম্ফা মাত্র ৪ কিমি। এই গুম্ফা দেখার জন্য পারমিটের প্রয়োজন নেই। আমাদের ড্রাইভার কর্মাজি আবার বেশ ধীরে ধীরে গাড়ি চালান। ফুন্টশেলিং থেকে চুখা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র পেরিয়ে প্রায় ১৪২ কিমি দূরে ছুজম, ওয়াং চু অর্থাৎ থিম্পু নদী আর পো চু অর্থাৎ পারো নদীর মিলনস্থল । এই ছুজম থেকেই ওয়াং চু-র পথ ধরে রাস্তা চলে গেছে থিম্পুর দিকে আরো ৩০ কিমি আর পারো ৩৫ কিমি।থিম্পু পৌঁছতে বেশ রাতই হয়ে গেল। থিম্পুতে আমাদের দু-রাত থাকার জায়গা ওয়াংচুক রিসোর্ট, শহর থেকে একটু ভেতরে । বাজার এলাকায় থাকতে চাইলে হোটেল তানডিন বেশ ভালো। নিরামিষ খাবারের জন্য হোটেল ঘাসেল বেশ নাম করা। ভুটানের সব জায়গাতেই বিশেষ করে থিম্পু, পারো, পুনাখাতে বাজার এলাকার বাজেট হোটেলগুলোতে থাকতে যা খরচা, একটু ভেতর দিকের রিসোর্টগুলোতে থাকতেও প্রায় একই লাগে। বাজার এলাকায় থাকলে পছন্দমতো যেকোন হোটেলে যেমন খাওয়া যায়, ভেতরের দিকে থাকলে সেই উপায় নেই। যেখানে থাকা সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।

শান্তি-স্তূপ

থিম্পুর দ্রষ্টব্য স্থান | Thimphu Sightseeing 

 ভুটানের প্রথম সকাল! অদ্ভুত এক অনুভূতি! হোটেলেই জলখাবার সেরে সকাল ৯-৩০ টা নাগাদ বেরিয়ে পরলাম থিম্পুর দ্রষ্টব্য স্থানগুলির উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে একটা কথা জানিয়ে রাখি ভারতীয় সময়ের তুলনায় ভুটানের সময় আধ-ঘন্টা পিছিয়ে অর্থাৎ ভারতীয় সময় যখন ৯-৩০ টা তখন ভুটানে ৯ টা। প্রথমেই গেলাম শান্তিস্তূপ, তারপর একে একে হ্যান্ডিক্রাফটস সেন্টার, ন্যাশনাল টেক্সটাইল মিউজিয়াম, ন্যাশনাল লাইব্রেরি, ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম দেখার পর পাহাড়ের মাথায় বুদ্ধ পয়েন্ট অপূর্ব লাগলো।

সামান্য উঁচু টিলার উপরে থিম্পু উপত্যকার সবচেয়ে প্রাচীন গুম্ফা চাংগাংখা  লাখাং। তিনশো বছরেরও বেশি প্রাচীন এই বিশাল বৌদ্ধগুম্ফাটিকে এখানকার মানুষ খুব পবিত্র বলে মানেন। কোনো পরিবারে শিশুর আবির্ভাব হলেই তাকে নিয়ে এখানে প্রধান লামার আশীর্বাদ নিতে আসাই রীতি।  সাদা রঙের বিশাল সার্ক বিল্ডিংটি জং-এর আদলে তৈরি। ভুটান সার্কভুক্ত(SAARC)দেশ হওয়ার পর এখানে সার্ক সম্মেলন উপলক্ষে এই প্রাসাদের নির্মাণ হয়। মতিথাং চিড়িয়াখানায় এক অদ্ভুত প্রাণী দেখা যায় নাম টাকিন, যা শুধু ভুটানের দেখতে পাওয়া যায়। থিম্পুর কেন্দ্রবিন্দু নরজিমলামের (রাস্তার নাম) ওপর ক্লকটাওয়ার। এখানেই হোটেল ঘাসেল, তানডিন ইত্যাদি। যে কোন একটিতে দুপুরের আহার সারা যায়। থিম্পুকে বলা হয় পৃথিবীর একমাত্র রাজধানী যেখানে কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল নেই। থিম্পুতে কোনো ট্রাফিক জ্যাম হয়না।

বিকেলবেলা গেলাম থিম্পু জং দেখতে। শুনলাম থিম্পু জং নির্মাণে কোন ধাতব দ্রব্য বা পেরেক ব্যবহার করা হয়নি। মূল শহর থেকে রিসোর্টে ফেরার পথে সন্ধ্যাবেলা দেখলাম আলোয় সজ্জিত থিম্পু জং। থিম্পু থেকে ৭ কিমি দূরে পুনাখার পথে সিমতোখা জং দেখে আগামীকাল থাকবো পুনাখায়। পুনাখা , বুমথাং, ফোবজিকা, হা-উপত্যকার জন্য অনুমতিপত্র (পারমিট) থিম্পু থেকেই সংগ্রহ করতে হবে, তার ব্যবস্থা অবশ্য কর্মাজিই করে দিলেন। ইচ্ছে থাকলে ভুটানের স্থানীয় পীচ-ওয়াইন জুমিমের স্বাদ নেওয়া যায় বেশ ভালোই।

দো-চুলা হয়ে পুনাখার পথে
দো-চুলা

দো-চুলা হয়ে পুনাখার পথে । Thimpu to Punakha via Dochula

ঝকঝকে পরিস্কার আকাশ, যেন একটু বেশিই নীল। সকাল ৮-৩০ টা। পাহাড়ি বাঁকের পর বাঁক পেরিয়ে গাড়ি ছুটছে অতীতের রাজধানী পুনাখার দিকে। থিম্পু থেকে পুনাখা ৮০ কিমি।পথে সিমতোখা জং দেখে এগিয়ে চললাম এ পথের সর্বোচ্চ বিন্দু দো-চুলা শীর্ষে (১০,৫০০ ফুট)। থিম্পু থেকে একঘন্টার পথ। পরিস্কার আকাশে এই পাস শীর্ষ থেকে দেখা যায়, পূর্ব-হিমালয়ের তুষারশৃঙ্গের সারি। পাসের ওপর টিলার মাথায় ১০৮ টি সুদৃশ্য চোর্তেন রয়েছে। 

বেশ অনেকটা সময় এখানেই কেটে গেল। আজই আমরা পুনাখার দ্রষ্টব্যগুলি দেখে নেবো, কারণ আগামীকাল ভোরবেলা রওনা দেব বুমথাং-এর উদ্দেশ্যে। দো-চুলা থেকে পুনাখা আরো দু-ঘন্টার পথ। এবার উৎরাই পথে কিছুটা গিয়ে লোবেসাতে রাস্তা দু-ভাগে বিভক্ত--একদিকে ১৪ কিমি দূরে পুনাখা আর অন্যদিকে ৯ কিমি দূরে ওয়াংদিফোদরং। আগামীকাল যাবো ওয়াংদির পথে। চিমি লাখাং "টেম্পল অব ফার্টিলিটি" হিসেবে নামাঙ্কিত। চিমি লাখাং দেখে পৌঁছে গেলাম পুনাখা জং। অপূর্ব সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ। ফো চু এবং মো চু-র সংগমের মাঝে সাদা দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে ভুটানের সবচেয়ে সুন্দর পুনাখা জং। ফো চু এবং মো চু একসঙ্গে মিশে পুনাখা চু নামে আরো নীচে দিয়ে বয়ে গেছে, যেটি পরে ভারতে নাম নিয়েছে সংকোশ নদী। আর ওদিকে থিম্পু চু ভারতে রায়ডাক।

রোমাঞ্চকর এক যাত্রাপথ বুমথাং

একটি ধনুকাকৃতি কাঠের সেতু পেরিয়ে এই জং-এ পৌঁছতে হয়। কাঠের সিঁড়ি ভেঙে অনেকটা উঁচুতে জং-এর প্রবেশদ্বার। জং-এর অন্দরে একে একে দেখা হল রাজকীয় বিচারসভা, প্রাচীন চোর্তেন ,অসংখ্য বুদ্ধমূর্তি, বিভিন্ন সরকারি অফিস, বৌদ্ধগুম্ফা, লামাদের বিদ্যালয় আর অবশ্যই অনিন্দ্যসুন্দর রঙিন চিত্রকলা আর কাঠের কারুকাজ। জং-টি দেখতে বেশ অনেক্ষণ সময় লাগলো। ‌পুনাখায় শীত ও গ্রীষ্মের প্রকোপ কোনটাই প্রকট নয়। থিম্পুর চেয়ে পুনাখায় শীত কম। পুনাখার উচ্চতা ৪৪২০ ফুট। হোটেল কুয়েঙ্গায় পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে গেল। খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালো এই হোটেলেও। ভুটানের কোথাও টিপস নেওয়ার চল দেখছিনা। পুনাখায় না থেকে ২৩ কিমি এগিয়ে ওয়াংদির কিংগালিং রিসোর্ট এও থাকা যায়। ওয়াংদি থেকে পুনাখার আলো ঝলমলে রূপ মুগ্ধ করে আবার কিছুটা পথ এগিয়েও থাকা গেল।

Scenic beauty of Landscape view at Phobjikha Valley
ফোবজিকা উপত্যকা

ল্যান্ডস্কেপারদের স্বর্গ ফোবজিকা | Scenic beauty of Landscape view at Phobjikha Valley

পুনাখা থেকে বুমথাং প্রায় ২২৪ কিমি । এই দীর্ঘ বৈচিত্র্যেভরা রোমাঞ্চকর যাত্রাপথের বিস্তারিত বর্ণনা আগেই করেছি। এবার বুমথাং থেকে পেলে-লা ফিরে আরো আধঘন্টার অন্য পথে ফোবজিকা (গাংতে উপত্যকা)। বুমথাং থেকে ট্রংসা, পেলে-লা হয়ে ফোবজিকা প্রায় ৮ ঘন্টার সফর। ফোবজিকা যেমন ল্যান্ডস্কেপারদের স্বর্গরাজ্য তেমনি পক্ষীপ্রেমীদের কাছেও আকর্ষণীয়। শীতকালে পরিযায়ী পাখি তিব্বতি কালো-গলা সারসে ( ব্ল্যাক নেকড ক্রেন) ভরে যায় ফোবজিকা উপত্যকা। ভুটানের সবচেয়ে বড় আর বিস্তৃত উপত্যকা এই ফোবজিকা । এখানে রাত্রিবাস এক অনন্য সাধারণ অভিজ্ঞতা। সুন্দর সুন্দর কাঠের তৈরি রিসোর্টগুলির অবস্থানও মুগ্ধ করার মতো। 

ফোবজিকায় একদম অন্যরকম একটা ভোর । রিসোর্টের কাঠের জানলা দিয়ে বিস্তীর্ণ উপত্যকা শান্ত, নির্জন। তারমধ্যেই সারসদের ক্র ক্র ডাক! দূর থেকে দেখা যায় ওদের কিন্তু কাছে যাওয়া যায়না কারণ ওরা যেখানে থাকে সেই লোল্যান্ড নরম কাদায় ভর্তি । সারাটা সকাল ফোবজিকায় ঘুরে বেরিয়ে , গ্যাংতোয়ে মনাস্ট্রিতে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে রওনা দিলাম পারোর উদ্দেশ্যে।


পারোতে তিনরাত কাটিয়ে দেখে নিলাম হা-উপত্যকা ,তাকসাং গুম্ফা। 

Bhutan Tour Plan
খারবন্দি গুম্ফা থেকে ফুন্টশেলিং

এরপর ফিরে চলি ফুন্টশেলিং। শহরে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম খারবন্দি গুম্ফায়। খারবন্দি পাহাড়ের মাথায় গুম্ফাটি বেশ আকর্ষণীয়। গুম্ফার বাইরে সুন্দর বাগান ও ৫টি চোর্তেন। গুম্ফার প্রাঙ্গণ থেকে পারিপার্শ্বিক দৃশ্য মনকাড়া। অনেক নীচে এক বিশাল ক্যানভাসে তোর্সা তথা আমো চু-র অববাহিকায় ফুন্টশেলিং শহরের অপূর্ব চিত্র ভেসে ওঠে।

ফিরে চলি ফুন্টশেলিং থেকে জয়গাঁও হয়ে হাসিমারা। হাসিমারা থেকে ট্রেনে কোলকাতা।

কিভাবে যাবেন | How to visit Bhutan

কোলকাতা থেকে ট্রেনে হাসিমারা বা নিউ জলপাইগুড়ি। তারপর সড়কপথে জয়গাঁও হয়ে ফুন্টশেলিং। হাসিমারা স্টেশন থেকে জয়গাঁও ১৮ কিমি। জয়গাঁও-র ওপারে ভুটানের সীমান্তশহর ফুন্টশেলিং। আকাশপথে ড্রুক এয়ারওয়েজের বিমানে সরাসরি পারো পৌঁছনো যায়। ভুটানের কোথাও কনডাক্টেড ট্যুরের ব্যবস্থা নেই। আমরা ৭ জন ছিলাম। একটা টাটা সুমো ভাড়া করে নিয়েছিলাম ১০ দিনের জন্য, দিনপ্রতি ৪০০০ টাকা করে।

আমাদের ভুটান ভ্রমণের পরিকল্পনা এইরকম ছিল:-  Bhutan Tour Plan

  • ফুন্টশেলিং থেকে ১৭২ কিমি থিম্পু, থিম্পুতে ২ রাত। Phuentsholing to Thimphu 172 k.m.
  • থিম্পু থেকে দো-চুলা হয়ে পুনাখা ৮০ কিমি, পুনাখায় ১ রাত।Thimphu to Dochula Pass 80 k.m.
  • পুনাখা থেকে বুমথাং প্রায় ২২৪ কিমি, বুমথাং-এ ২ রাত।পুনাখা থেকে ওয়াংদি ২৩ কিমি, ওয়াংদি থেকে পেলে-লা হয়ে ট্রংসা ১২১ কিমি, ট্রংসা থেকে বুমথাং ৮০ কিমি।Punakha to Bumthang121km
  • বুমথাং থেকে ট্রংসা, পেলে-লা হয়ে ফোবজিকা ১৭০ কিমি, ফোবজিকায় ১ রাত। Bumthang to Phobjikha via Trongsa and Pelela 170 k.m.
  • ফোবজিকা থেকে পারো ১৮৫ কিমি,পারোতে ৩ রাত। (পারো থেকে হা-উপত্যকা ৬২ কিমি। পারো থেকে তাকসাং গুম্ফা ৬ কিমি হাঁটাপথ। যাওয়া-আসা মিলিয়ে প্রায় সারাদিন লাগবে।) Paro to Phobjikha 185 k.m.
  • পারো থেকে ফুন্টশেলিং ১৭৫ কিমি। ফুন্টশেলিং থেকে হাসিমারা পৌঁছে ট্রেনে কোলকাতা। Paro to Phuentsholing 175 k.m.

গাড়ি ও হোটেল বুকিং-এর জন্য | Contact Details for Vehicle and Hotel

Mr. B. K. Prasad এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
WhatsApp : +919593837520
Ph no: - 00975-17601325 (Bhutan)

ভুটান কখন যাবেন | Best time to visit Bhutan

ভুটানে সারা বছর যাওয়া যায়, তবে কিছু কিছু জায়গায় বর্ষাকালে সমস্যা হবে। যেমন- তাকসাং গুম্ফা, বুমথাং-এর পথে বর্ষাকাল যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। হা-উপত্যকার পারমিট পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরে।

ফোবজিকা উপত্যকায় শীতকালে পরিযায়ী পাখি(তিব্বতি কালো গলা সারস)দেখা যায়।

ভুটান ভ্রমণের প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য । Information you should have before visiting Bhutan

সড়কপথে ফুন্টশেলিং এবং বিমানপথে পারো থেকে পারমিট নিতে হয়। এই পারমিটে শুধু এই দুই শহর থিম্পু পারো ঘোরা যায়। অন্যান্য জায়গা যেমন: হা, পুনাখা,বুমথাং, ফোবজিকা যেতে হলে থিম্পু শহরের ইমিগ্রেশন অফিস থেকে পারমিট নিতে হবে। সঙ্গে প্রত্যেকের ভোটার কার্ড, ভোটার কার্ডের জেরক্স কপি, তিন কপি করে পাসপোর্ট সাইজ ছবি সঙ্গে নেবেন। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে সঙ্গে রাখা ভালো ।

  • শনি-রবি ও ভুটানের সরকারি ছুটির দিন ইমিগ্রেশন অফিস বন্ধ থাকে। ভুটান পরিকল্পনার সময় এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
  • ভুটানের সময় আধঘন্টা পিছিয়ে
  • ভুটান ভ্রমণের অনুমতিপত্রের জেরক্স (photocopy of entry permit) নিজেদের সঙ্গে রাখবেন।
  • ড্রাইভারের ফোন নম্বর সঙ্গে রাখবেন।
  • বর্ডার গেটের কাছে SBI/ICICI ATM আছে।

কোথায় থাকবেন | Hotels in Bhutan

ভুটানের বেশিরভাগ হোটেলেই দ্বি-শয্যা বিশিষ্ট ঘর । অতিরিক্ত ব্যক্তির জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়।

ফুন্টশেলিং । Hotels at Phuentsholing

Hotel Shelgoen
Ph no:- 00975-77160283

থিম্পু । Hotels at Thimpu

Wangchuk Resort (শহর থেকে অনেকটা ভেতরে)
Hotel Tandin
Hotel Ghasel
Ph no:- 00975-2-324002
Hotel Zey Zang
Ph no:- 00975-17601658
(এই হোটেলগুলো বাজার এলাকায়, নরজিমলামে ক্লক টাওয়ারের কাছে)

পুনাখা । Hotels at Punakha

Hotel Kuyenga

ওয়াংদি । Hotels at Wangdi

Kingaling Hotel & Spa

বুমথাং । Hotels at Bumthung

Samyae Resort
Ph no:- 00975-17852453
Swiss Guest House
Yozerling Lodge

ফোবজিকা । Hotels at Phobjika

Dewachen Hotel
Gakiling Guest House
Ph no:- 00975-17651577
00975-77651577
00975-77868677
00975-17807233
00975-17488355

পারো । Hotels at Paro

Hotel Phunsum

Hotel Dragon

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন