কুমায়ুনের আশ্রমে আশ্রমে অফবিট কুমায়ুন | Offbeat Kumaon

Purnagiri temple
পূর্ণাগিরি

টনকপুর থেকে পূর্ণাগিরি (অফবিট কুমায়ুন) । Tanakpur to Purnagiri Temple

লক্ষ্ণৌ থেকে ২ কিমি দূরে আইসবাগ স্টেশন, এখান থেকে মিটারগেজ শাখায় কাঠগোদাম-নৈনিতাল এক্সপ্রেস পাহাড়-জঙ্গলের বুক চিরে পৌঁছয় পিলভিট জংশন। এক রাতের এই ছোট ট্রেন যাত্রা বেশ মজার। পিলভিট থেকে ট্রেনের দুটি কামরা কেটে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়, পরের দিন সকালে এই অংশটি পৌঁছয় চম্পাবত জেলার টনকপুরে। বাকি অংশটি চলে যায় লালকুঁয়া। তাই এই ট্রেনে টনকপুর আসলে মধ্যরাতে পিলভিট জংশনে বেশ অনেকক্ষণ ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকে।

টনকপুর পৌঁছে স্টেশনের উল্টোদিকে একটি হোটেলে উঠলাম। স্নান-খাওয়া সেরে বেরিয়ে পড়ি পূর্ণাগিরির উদ্দেশ্যে। টনকপুর থেকে শেয়ার জিপে টুলিগার্ড, টুনসাস হয়ে পূর্ণাগিরি প্রায় ২০ কিমি। শেষ ৩ কিমি সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে উঠতে হয় পাহাড়ের মাথায়। ওপর থেকে সারদা নদীর দৃশ্যপট নজর কাড়ে। সমতলের সারদা নদী পাহাড়ের ওপর দিকে কালী নদী নামে পরিচিত। আবার এই নদীই বিহারে ঘর্ঘরা। টনকপুরে থাকার কারণ পূর্ণাগিরি দর্শন (Purnagiri Temple), মা দুর্গার এক রূপ। সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসি হোটেলে।

আরও জানুনঃ কুমায়ুন ভ্রমণ 

নারায়ণস্বামী আশ্রমের পথে | Way to Narayanswami Ashram

সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ি পিথোরাগড়ের উদ্দেশ্যে । টনকপুর, সুখিডাং, লোহাঘাট হয়ে পিথোরাগড় ১৫০ কিমি। পরিস্কার, মেঘমুক্ত আকাশে পিথোরাগড় থেকে ত্রিশূল, হরদেউল, নন্দাখাত, রাজরম্ভা, পঞ্চচুল্লির মত গিরিশ্রেণীর দর্শন পাওয়া যায়।

কিন্তু এখন এই জুন মাসের মাঝামাঝি সময়টা সাধারণত তুষারশ্রেণীর দেখা পাওয়া যায় না। পিথোরাগড় থেকে ওগলা, জৌলজীবী হয়ে ধারচুলা ৯৫ কিমি। শহরের ধার ঘেঁষে নেমে গেছে কালী নদী, তার অপর পারে নেপাল। ধারচুলা থেকে তাওয়াঘাট হয়ে টানা নারায়ণস্বামী আশ্রম পর্যন্ত দুপুর নাগাদ শেয়ার জিপ পাওয়া যায়। ধারচুলা থেকে তাওয়াঘাট ১৯ কিমি, এখানে কালী নদী ও ধৌলির সংগম। ধৌলির উপর সেতু পেরিয়ে পথ চলে গেছে মানস-সরোবরের দিকে। আমাদের গন্তব্য নারায়ণস্বামী আশ্রম।

মানস সরোবরের পথে এই আশ্রম পর্যন্তই গাড়ি পথ শেষ, এরপর হাঁটা। তাওয়াঘাট থেকে নারায়ণস্বামী আশ্রম ৩৪ কিমি। এমনিতেই বেশিরভাগ পথ কাঁচা, মাটির রাস্তা। তাওয়াঘাটের পর ব্রীজ পেরোতে ওপারে রাস্তা আরো সংকীর্ণ। এক-একটা এমন বাঁক আসছে যে গাড়ি থেকে নীচে তাকালেই অতলস্পর্শী খাদ। কিছু কলেজ ফেরৎ স্থানীয় ছেলে গাড়ির মাথায় বসে যাচ্ছে আর গাছ থেকে ডাল ছিঁড়ে ড্রাইভারের চোখে কানে সুড়সুড়ি দিয়ে মজা করছে। প্রথমে ভয় বিরক্তি লাগলেও বুঝতে পারি এটাই ওদের অভ্যাস। চালকও উপভোগ করছে দেখে আমরাও হাসতে থাকি। এরা তো প্রতিদিন এপথে যাওয়া আসা করছে। ওদের জন্য এমন ভয়ঙ্কর পথ যাত্রাও অনেকটা সহজ হয়ে গেল।

গ্রাম দেখলেই গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ছে বেশ কিছুক্ষণ, জিনিসপত্রের আদান-প্রদান চলছে , গাড়ির মাথায় মালপত্র ওঠানো আবার পরের গ্রামে নামানো এসব চলতেই থাকে। এই একটাই জিপ এপথে রোজ একবার যাওয়া-আসা করে যে। চালক বললো প্রয়িদিন সকাল সাড়ে-সাতটায় ধারচুলা ফেরার জিপ ছাড়ে আশ্রমের সামনে থেকেই। আমাদের ঘুম না ভাঙলে ঘুমন্তই জিপে তুলে নেবে! মাঝে একদল স্কুল বাচ্চাদের জিপের পেছনে ঠেসে তুলে নেওয়া হল। চালকের ভাষায় " উঠ সব ভেড়-বকরি!" এক জায়গায় জোরে গাড়ি চালানোর সময় পথ-পরিদর্শকের হাতে ধরা পড়ে যায় ড্রাইভার। ভয় পায় যদি জরিমানা দিতে হয়। কিন্তু জরিমানা না নিয়ে শুধু কান ধরে ওঠ-বোস করিয়ে ছেড়ে দেওয়ায় সে কি খুশি! হা হা..! এইভাবেই হাসি মজা করে দু-তিন ঘণ্টার পথ পেরিয়ে গেলাম। মাঝে পাঙ্গু গ্রাম পেরিয়ে এসেছি, আগে পাঙ্গু থেকে হেঁটে আসতে হত ১০ কিমি। 

Narayanswami Ashram
নারায়ণস্বামী আশ্রম

নারায়ণস্বামী আশ্রম |Narayanswami /Narayan Ashram at Sosa Village ,Dharchula

পৌঁছে গেলাম আশ্রম প্রাঙ্গণে, সোসা গ্রামে এই আশ্রম। ঢুকেই দেখলাম লেখা আছে পোস্ট: কৈলাস! দেখেই কেমন রোমাঞ্চিত লাগলো। উচ্চতা প্রায় ৯,০০০ ফুট। সন্ন্যাসী নারায়ণস্বামীর নিরলস কর্মকান্ডের উজ্জ্বল সাক্ষী এই আশ্রম। চারদিকে প্রচুর গাছপালায় ঘেরা, ফুল-ফলের বাগানে সজ্জিত গথিক-গির্জার অনুকরণে তৈরি অপূর্ব-দর্শন এই আশ্রম। চারদিকে সবুজে ছাওয়া আর পাহাড়ের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। আশ্রম প্রাঙ্গণ ভরে আছে ডেইজি ফুলে। আশ্রমের পেছনদিকে নিভৃতে শূন্যতা- কুটির। আশ্রমের একটু ওপরে ঘুরে আসা যায় গোলবন থেকে। আশ্রমকে পাশ কাটিয়ে ঘুরে আসা যায় সিরখা, সিরাথাং থেকেও। আরো এগিয়ে মালপা, বুধি, গুঞ্জি, কালাপানি, নাবিধাং হয়ে পথ চলে গেছে কৈলাসের দিকে। 

সিরাথাং-এর শিবমন্দির

আশ্রম থেকে ৫ কিমি হাঁটাপথে সিরাথাং-এর একটা শিবমন্দির যাওয়ার জন্য বাড়তি একদিন থেকে গেলাম। গুজরাতের এক আশ্রম থেকে মাতাজী আর ওনার শিষ্যাদের সঙ্গী হলাম আমরাও। ওনারা সঙ্গে করে যা খাবার এনেছিলেন আমাদের দিলেন, তার সাথে আশ্রম থেকে লুচি-তরকারি আনা হয়েছিল। সবাইমিলে এক জায়গায় বসে খেলাম। গ্রামের মন্দিরটি কতদিন যে খোলা হয়নি তার ঠিক নেই । একজনের বাড়ি থেকে চাবি এনে, মন্দির খুলে, মন্দিরের ভেতর আর বিগ্রহ পরিস্কার করতেই একঘন্টা লেগে গেল। সঙ্গে করে পুজোর বাসন , ফুল সব আনা হয়েছে তাই দিয়ে পুজো করে প্রসাদ খেয়ে প্রায় দুপুরবেলা ফেরার পথ ধরলাম। পথে গ্রামের একটি বাড়িতে কিছুক্ষণ চা-পানের বিরতি সাথে আড্ডা জমে উঠল। আশ্রমে ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যে। আশ্রমের সবার সাথে মিলেমিশে কিভাবে যে তিনদিন কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না।

আশ্রমের নিয়ম-নীতি

 তবে যে কোন আশ্রমে থাকলে আশ্রমের কিছু নিয়ম পালন করতে হয় । যেমন-- নিরামিষ আহার, নিজের খাবার বাসন নিজে পরিষ্কার করা, সন্ধ্যার সময় প্রার্থনা গৃহে হাজির, বেশি চিৎকার চেঁচামেচি হৈ হৈ না করা, আশ্রম প্রাঙ্গণের কোন গাছপালায় হাত না দেওয়া, আশ্রম পরিষ্কার রাখা, আশ্রমের স্নিগ্ধ শান্ত আধ্যাত্মিক পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করা। আসলে এইসব জায়গা ঠিক সব পর্যটকদের জন্য নয়। প্রকৃতিপ্রেমীর সাথে আধ্যাত্মিক মনস্ক না হলে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে সেটা বুঝেই এসব জায়গায় আসা উচিত। এইসব আশ্রম কিন্তু হোটেল নয় তাই হোটেলের আরাম বা সুযোগ-সুবিধা এখানে একদমই আশা করা উচিত নয়---- তা সে কৌশানির অনাশক্তি যোগ আশ্রম, শ্যামলাতালের বিবেকানন্দ আশ্রম, মায়াবতীর অদ্বৈত আশ্রম কিংবা নারায়ণস্বামী যাইহোক না কেন।

পিথোরাগড় থেকে লোহাঘাট | Pithoragarh to Lohaghat

   আবার একই পথে ফিরে চলি ধারচুলা হয়ে পিথোরাগড়। পিথোরাগড়ে একরাত কাটিয়ে লোহাঘাট। পিথোরাগড় থেকে লোহাঘাট ৬০ কিমি। লোহাঘাটে একদিন থেকে ঘুরে নেওয়া যায় অ্যাবোট-মাউন্ট, শহর থেকে ১১ কিমি। এখানে থাকাও যায়।  ঘুরে আসা যায় লোহাঘাট থেকে কর্ণকরায়ত হয়ে বানাসুর কেল্লা। কর্ণকরায়ত পর্যন্ত ৬ কিমি শেয়ার গাড়িতে গিয়ে শেষ ১ কিমি সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হবে কেল্লা পর্যন্ত।

Mayavati Ashram
মায়াবতী আশ্রম

মায়াময় মায়াবতী আশ্রম | Mayavati Ashram

 লোহাঘাট থেকে মাত্র ৯ কিমি দূরে অদ্বৈত আশ্রম মায়াবতী। আমাদের এবারের সফরের দ্রষ্টব্য বলতে প্রকৃতি আর তার কোলে শান্ত-সমাহিত আশ্রমগুলি-- একে অন্যের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ। পাহাড়ি পথ ঘুরে ঘুরে লোহাঘাট থেকে মায়াবতীর রাস্তা। দুদিকে পাইন-দেওদারের বন। পথে রোদ-ছায়ার লুকোচুরি। এই যাত্রাপথটুকু যেন এক টুকরো কবিতা। স্বামী বিবেকানন্দের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে ওনারই শিষ্য-শিষ্যা ব্রিটিশ-দম্পতি সেভিযারের বাসগৃহে ওনাদেরই অর্থ সাহায্যে প্রতিষ্ঠিত হয় মায়াবতী আশ্রম। পরে ১৮৯৯ সালের ১৯ শে মার্চ স্বামী স্বরূপানন্দের সহযোগিতায় এই আশ্রমের সূচনা হয়। পরবর্তীকালে এটি বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের শাখা কার্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। স্বামীজি প্রতিষ্ঠিত "প্রবুদ্ধ ভারত" ইংরেজি মাসিক পত্রিকাটির সম্পাদকীয় দফতর রয়েছে মায়াবতীতে। এটি সারা ভারতে শিক্ষা, সংস্কৃতি, দর্শন ও আধ্যাত্মিক বিষয়ক অন্যতম প্রাচীন ইংরেজি মাসিক পত্রিকা। 

  এখানে থাকা এক চিরস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। মায়াবতীর স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্য মনকে পৌঁছে দেয় এক অন্য জগতে। আশ্রমের মূলমন্ত্র অদ্বৈতবাদ বা একেশ্বরবাদ। অর্থাৎ ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। সেই কারণে আশ্রমের মধ্যে মূর্তিপূজার প্রচলন নেই, মন্দির বলতেও কিছু  নেই। অদ্বৈত-বেদান্তের শিক্ষা অনুসারে , নিজের মধ্যে এবং জীবজগতের মধ্যে পরমাত্মার প্রকাশ অনুভব করা। নিস্তব্ধতার মধ্যে পরমব্রহ্মকে উপলব্ধি করা। তবে শুনলাম এখানে কালীপুজো হয় আর কালীপুজোর পর আশ্রম সাধারণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় চারমাসের জন্য। 

 মায়াবতীর উচ্চতা ৬,৪০০ ফুট। নানান মরসুমি ফুল ও ফল গাছে সাজানো আশ্রমের বাগান। আশ্রম-প্রাঙ্গণে স্বামীজির ঘর (১৯০১ সালের ৩রা জানুয়ারি থেকে ১৮ ই জানুয়ারি এই ঘরে অবস্থান করেছিলেন স্বামীজি), ধ্যানকক্ষ, বুকষ্টল, খাবার ঘর। গেস্ট-হাউস থেকে প্রায় ১০ মিনিটের বনপথে এই আশ্রম। খাওয়া-দাওয়া, এমনকি চা-পানের জন্যও এই আশ্রমে আসতে হবে। সঙ্গে গাড়ি থাকলে অসুবিধা নেই, নাহলে এই চড়াই পথটুকু হেঁটে আসতে হবে। মায়াবতীতে এই আশ্রম ছাড়া অন্য কোন থাকা-খাওয়ার জায়গা নেই। 

  আশ্রম-প্রাঙ্গণ থেকে ওপরে হালকা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ৪ কিমি হাঁটাপথে পৌঁছে যাওয়া যায় ধর্মগড়। এইস্থানে স্বামীজি আসতেন নির্জনে বসে সাধনা করতে। অন্যদিকে বনের মধ্যে কিছুটা নীচে মাদার সেভিয়ারের বাংলো। এসব ছাড়াও আশ্রমের নিজস্ব গোশালা, ডেয়ারি, চিকিৎসালয় আছে। দু-একদিন থাকলে সবই ঘুরে দেখে নেওয়া যায়।

শ্যামলাতাল | Shyamlatal , Uttarakhand.

  মায়াবতী থেকে চম্পাবত হয়ে ফিরে চলি সুখিডাং। সুখিডাং থেকে ৬ কিমি দূরে শ্যামলাতাল, গাছপালায় ঘেরা একটি সবুজ জলের লেক। কাছেই বিবেকানন্দ আশ্রম। একদম বেলুরমঠের আদলে তৈরি মন্দিরটি। আশ্রমের অতিথি নিবাস, চিকিৎসাকেন্দ্র, ধ্যানকক্ষ সবই রয়েছে। চারপাশে পাইন, দেওদার, ম্যাগনোলিয়া, মেহগনি, ইউক্যালিপটাস এছাড়াও বিভিন্ন ফুলগাছে ঘেরা আশ্রম প্রাঙ্গণ, তারই মধ্যে ছড়ানো-ছেটানো অতিথি নিবাসগুলি। আশ্রম থেকে আধ-কিমি ওপরে টনকপুর ভিউ-পয়েন্ট। শ্যামলাতালে একদিন থেকে আবার সুখিডাং হয়ে ফিরে চলি টনকপুর। 

কিভাবে যাবেন | How to visit Narayan Ashram , Mayawati Ashram & Shyamlatal , Uttarakhand.

যে কোন ট্রেনে লক্ষ্ণৌ পৌঁছে, লক্ষ্ণৌ থেকে ২ কিমি দূরে আইসবাগ স্টেশন। আইসবাগ থেকে রাতের মিটারগেজ শাখায় নৈনিতাল এক্সপ্রেস পরেরদিন সকালে টনকপুর পৌঁছয়। 

টনকপুর থেকে সুখিডাং, চম্পাবত, লোহাঘাট, পিথোরাগড়,  ধারচুলা, নারায়ণস্বামী আশ্রম পর্যন্ত শেয়ার জিপ চলে। 

লোহাঘাট থেকে মায়াবতী শেয়ার জিপ চলে। 

সুখিডাং থেকে শ্যামলাতাল গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে।

কখন যাবেন | Best time to visit Narayan Ashram , Mayawati Ashram & Shyamlatal , Uttarakhand.

 নারায়ণস্বামী আশ্রম মাঝ এপ্রিল থেকে মাঝ নভেম্বর অবধি খোলা থাকে। কালীপুজোর পর বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্ষার সময় না যাওয়াই ভালো। 

মায়াবতী ও শ্যামলাতাল মার্চের মধ্যভাগ থেকে জুনের মধ্যভাগ ও সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগ থেকে নভেম্বরের মধ্যভাগ পর্যন্ত সাধারণ পর্যটকের জন্য খোলা থাকে।

কোথায় থাকবেন | 

টনকপুর, লোহাঘাট, পিথোরাগড়, ধারচুলার বেসরকারি হোটেল, কুমায়ুন মন্ডল বিকাশ নিগমের (KMVN) লজ সবই আছে।

নারায়ণস্বামী আশ্রমের গেস্ট-হাউসে থাকা যায়। Shri Narayan Ashram Trust-এর e-mail এ চিঠি লিখে আগে থেকে বুকিং করে যাওয়া যায়। 

Ph no: +919427490810

তবে আগে থেকে বুকিং না থাকলেও থাকার ব্যবস্থা হয়ে যায়। থাকা-খাওয়া প্রত্যেকের প্রতিদিন ৬০০ টাকা করে। 

এছাড়া আশ্রমের কাছেই KMVN-এর লজও আছে। 

শ্যামলাতালের বিবেকানন্দ আশ্রমে থাকার জন্য online-এ বুকিং করা যায়। ৬০০ টাকা  করে প্রতিদিন প্রতিজনের থাকা-খাওয়া। 

মায়াবতীতে একমাত্র থাকার জায়গা অদ্বৈত আশ্রম। নাহলে লোহাঘাটে থেকে মায়াবতী ঘুরে যেতে হবে। তবে মায়াবতীর অদ্বৈত আশ্রমে থাকার যে অনন্য অভিজ্ঞতা তা লোহাঘাট থেকে ঘুরে গেলে হওয়া সম্ভব নয়। মায়াবতীর অদ্বৈত আশ্রমে অন্ততঃ দু-দিন থাকলে ভালো। সাধারণত তিনদিনের বেশি কোন আশ্রমেই থাকার অনুমতি পাওয়া যায় না। 

মায়াবতীর অদ্বৈত আশ্রমের গেস্ট-হাউসে থাকার জন্য নিম্নলিখিত e-mail এ চিঠি লিখে বুকিং করা যায়। 

mayavatiguesthouse@gmail.com

নিম্নলিখিত ঠিকানায় চিঠি লিখেও বুকিং করা যায়।

মায়াবতী আশ্রমের ঠিকানাঃ Mayawati Ashram Address.

Advaita Ashrama
P.O. Mayavati, via Lohaghat
Dt. Champawat-262524
Uttarakhand, India

Ph:- 91-05965-234233

কোলকাতায় যোগাযোগের ঠিকানাঃ Mayawati Ashram Address .Kolkata.

Advaita Ashrama
5 Dehi Entally Road
Kolkata-700014
WestBengal, India
Ph no:- 91-033-2289 0898

প্রয়োজনীয় দূরত্ব | Distance Between

  • টনকপুর থেকে পূর্ণাগিরি ২০ কিমি.. শেষ ৩ কিমি সিঁড়ি। Tanakpur to Purnagiri temple 20 k.m.
  • টনকপুর থেকে সুখিডাং ২৪ কিমি.| Tanakpur to Sukhidhang 24 k.m.
  • সুখিডাং থেকে শ্যামলাতাল ৬ কিমি. |  Tanakpur to Shyamlatal via Sukhidhang 30 k.m.
  • টনকপুর থেকে লোহাঘাট ৮৮ কিমি. | Tanakpur to Lohaghat 88 k.m.
  • লোহাঘাট থেকে মায়াবতী ৯ কিমি.| Lohaghat to Mayawati Ashram 9 k.m.
  • লোহাঘাট থেকে পিথোরাগড় ৬০ কিমি. | Tanakpur to Pithoragarh via Lohaghat 148 k.m.
  • পিথোরাগড় থেকে ধারচুলা ৯৫ কিমি.| Pithoragarh to Dharchula 95 k.m.
  • ধারচুলা থেকে নারায়ণস্বামী আশ্রম ৫৩ কিমি | Dharchula to Narayan Ashram 53 k.m.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন