হাম্পি, বাদামী, কর্ণাটক, দক্ষিণ ভারত ভ্রমণ | Hampi, Badami Karnataka South India Travel Guide

 

Hampi Badami Karnatak

হাম্পির ইতিহাস|  History of Hampi Temple

এ দেশের বৃহত্তম হিন্দু সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষ কর্ণাটক রাজ্যের হাম্পিতে।  তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে সমৃদ্ধ বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল হাম্পি। ১৪ শতকে হরিহর আর বুক্কা নামে দুই রাজা এই নগরীর গোড়াপত্তন করেন। তারপর রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের রাজত্বকালে বিজয়নগর সাম্রাজ্য সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছয়। ১৫৬৫ সালে তালিকোটার যুদ্ধে ধ্বংস হয় বিজয়নগর সাম্রাজ্য। প্রবল আক্রোশে বিজয়ীর দল ভেঙে দেয় রাজধানী, মন্দির, প্রাসাদ, বাসগৃহ, বাজার। সেইসব ধ্বংসাবশেষ আজও ছড়িয়ে আছে চারপাশে। সবই পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধীনে।যারা ইতিহাস ভালোবাসেন হাম্পি খুব ভালো লাগবে। হাম্পির সৌধগুলি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের (UNESCO WORLD HERITAGE SITES) অন্তর্ভুক্ত।

আবার পুরাণমতে, হাম্পি হল প্রাচীন কিষ্কিন্ধ্যা (বানর-রাজত্ব)। সীতা হরণের পর রাম নাকি এখানেই সুগ্রীবের সাক্ষাৎ পান। সীতার চিহ্ন হিসাবে সমস্ত অলঙ্কার সুগ্রীব এখানেই কুড়িয়ে পান। তুঙ্গভদ্রার অপর পাড়ে অঞ্জনা পাহাড় হনুমানের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করা হয়।  তুঙ্গভদ্রা নদীর প্রাচীন নাম পম্পা। 

হাম্পি কোন নদীর তীরে অবস্থিত ।

হাম্পিকে ঘিরে | 

দুরাত কাটিয়ে তৃতীয়দিন প্রায় একঘন্টা লেট করে ট্রেন হসপেট পৌঁছয়। হাম্পির নিকটতম রেলস্টেশন হসপেট। হসপেট থেকে হাম্পির দূরত্ব ১৩ কিমি। বাস-অটো চলাচল করে।  হসপেট থেকে হাম্পির পথে রাস্তার দুদিকে বিশাল বিশাল গোলাকার পাথরের স্তূপ। হাম্পির এই অদ্ভুত পাথুরে ভূমিরূপ আর ধ্বংসাবশেষ মিলে এমনই বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে যে মনে হবে আমরা কোনো প্রাগৈতিহাসিক যুগে চলে এসেছি, সময় যেখানে থমকে গেছে। হসপেট থেকে হাম্পি যাওয়ার পথেই পড়বে কর্ণাটক ট্যুরিজমের হোটেল।

হাম্পির মূল-চত্বর বিরুপাক্ষ মন্দিরকে কেন্দ্র করে। এখানেই বাসস্ট্যান্ড, গেস্ট-হাউস, দোকানপাট সব। ছোট জায়গা হাম্পি, তাই হোটেল খুঁজতে বেশি সময় লাগেনা।  হোটেল বলতে গেস্ট-হাউস। লোকে নিজেদের বাড়িগুলোকেই গেস্ট-হাউস বানিয়ে নিয়েছেন আর সব গেস্ট-হাউসগুলোই বিরুপাক্ষ মন্দিরের আশপাশে। ঘরভাড়া ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। সবকিছু ঠিক করতে আট'টা বাজলো। এরপর স্নান-খাওয়া সেরে দশটা নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম হাম্পি দর্শনে।

ভালো করে হাম্পি দেখতে দুদিন যথেষ্ট। একদিন হাম্পি ভিলেজ চত্বর, সাউথ-হাম্পি অর্থাৎ যেদিকে আমরা আছি সেইদিকটা। আর একদিন নদীর ওপারে, নর্থ-হাম্পি অর্থাৎ কিষ্কিন্ধ্যা, হনুমানের জন্মস্থান। এদিকে হিপি-আইল্যান্ডে বিদেশীরা থাকতে পছন্দ করে কারণ হাম্পি-ভিলেজ মন্দির চত্বর তাই নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়। তবে হাম্পি ভিলেজে mango-tree restaurent বেশ ভালো। বিশেষ করে mango tree basic thali। হাম্পিতে কোনো ATM নেই, হসপেটে আছে।

হাম্পি গ্রামের মন্দির-চত্বর | Hampi Temple History

প্রথমদিনে দেখলাম হাম্পি ভিলেজ চত্বর , সাউথ-হাম্পি। হাম্পির প্রধান দ্রষ্টব্যগুলো সব এদিকেই। এদিকের দ্রষ্টব্যগুলিও দু-ভাগে বিভক্ত-- মন্দির চত্বর, রাজকীয় চত্বর। প্রথমে গেলাম হেমকূট পাহাড়। সেখানে পাহাড়ের নীচে কদালেকালু গণেশ মূর্তিটি বেশ অভিনব। গণেশ মূর্তির পেছনদিকে অর্থাৎ উল্টোদিকে পার্বতীর অবয়ব খোদাই করা।হেমকূট পাহাড়ে কিছু প্রাচীন মন্দির ছড়িয়ে আছে। এরপর কৃষ্ণ মন্দির, চন্ডীকেশ্বর মন্দির ঘুরে নরসিংহ মূর্তি। পাশেই বিরাট শিবলিঙ্গ।

বিরুপাক্ষ মন্দিরের উল্টোদিকে মাতঙ্গ পাহাড়ের নীচে বিশাল নন্দীমূর্তি দেখে তুঙ্গভদ্রার পার ধরে এগিয়ে যাই অচ্যুতরায় মন্দিরের দিকে, পথে কোদন্ডরাম মন্দির। কোদন্ডরাম মন্দিরের কাছেই তুঙ্গভদ্রা নদীতে কোরাকল রাইড হয়। পারিপাশ্বিক দৃশ্য সুন্দর। এখানে নদী বেশ চওড়া, পাথুরে নিসর্গ। দূরে অঞ্জনা পাহাড় দেখা যায়, পাহাড়ের মাথায় হনুমান মন্দির। একটু এগিয়ে অচ্যুতরায় মন্দির। আগামীকাল কোরাকলে ভাসবো তুঙ্গভদ্রার বুকে। মাতঙ্গ পাহাড়ে উঠতে নামতে প্রায় একঘন্টা লাগে। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের সময় মাতঙ্গ পাহাড় থেকে হাম্পির দৃশ্য মনোরম। 

হাম্পি গ্রামের রাজকীয়-চত্বর

অচ্যুতরায় মন্দির দেখে একই পথে অটোতে ফিরে এসে রাজকীয় চত্বরে পৌঁছলাম। অর্থাৎ বিজয়নগর সাম্রাজ্যের আবাসস্থল। এখানে দর্শনীয় পাতাললিঙ্গেশ্বর, অন্যতম প্রধান দ্রষ্টব্য লোটাসমহল, হাতির আস্তাবল, মহানবমী ডিব্বা, কুইন্স বাথ, হাজাররামা মন্দির ইত্যাদি। হাজাররামা মন্দির গাত্রে রামায়নের গল্প খোদাই করা আছে। এই মার্চ মাসেও হাম্পিতে প্রচন্ড গরম, তার কারণ জায়গাটা পাথুরে।

সবশেষে বিঠঠল মন্দির। হাম্পির সর্বশ্রেষ্ঠ মন্দির। এই মন্দির-চত্বর ঘুরে দেখতে বেশ অনেকক্ষণ সময় লাগবে। এখানে রয়েছে পাথরের রথ, সারা গায়ে ভাস্কর্য। এই রথের ছবি নতুন পঞ্চাশ টাকার নোটে শোভা পাচ্ছে। 

এরপর মাল্যবন্ত পাহাড়ে সূর্যাস্ত দেখে শেষ হয় প্রথমদিনের হাম্পি দর্শন। হাম্পি ঘুরতে ঘুরতে শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস "তুঙ্গভদ্রার তীরে" বার বার মনে পরে যায়।

Hampi Karnataka South India


হাম্পির প্রাণকেন্দ্র বিরুপাক্ষ-মন্দির ও কোরাকলে হাম্পি দর্শন

দ্বিতীয়দিন একটু সকাল সকাল বিরুপাক্ষ মন্দির দর্শন করে, জলখাবার সেরে অটো করে চলে যাই কোদন্ডরাম মন্দিরের সামনে। কোরাকল রাইডের জন্য মাথাপিছু ৫০০-৬০০ টাকা লাগে। এই কোরাকলে ভাসার সময় আরো কিছু দ্রষ্টব্য দেখানো হয়। তারমধ্যে কোটি-লিঙ্গ উল্লেখ্য। 

বিরুপাক্ষ মন্দির খোলা থাকে সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১২ টা আবার দুপুর ২ টো থেকে রাত ৮ টা। সন্ধ্যারতির সময়ও যাওয়া যায় ৭ টা থেকে ৭-৩০ টা নাগাদ।

প্রাচীন কিষ্কিন্ধ্যা, হনুমানের জন্মস্থান

কোরাকল রাইড সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৪ টে নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম তুঙ্গভদ্রা নদীর ওপারে আনেগুন্ডি যাওয়ার জন্য। আমরা তুঙ্গভদ্রা নদীর যে পারে আছি, অর্থাৎ বিরুপাক্ষ মন্দির সংলগ্ন হাম্পি গ্রাম, তার উল্টোদিকে নদীর অপর পারে প্রাচীন কিষ্কিন্ধ্যা বা বর্তমানে আনেগুন্ডি। কিষ্কিন্ধ্যার পৌরাণিক খ্যাতি রামায়ণের জন্য। পুরাণমতে এখানেই নাকি পবনপুত্র হনুমানের জন্মস্থান। এর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে রামায়ণ।

বিরুপাক্ষ মন্দিরের পাশ দিয়ে ফেরিঘাট গিয়ে টিকিট কেটে বোটে করে পৌঁছে যাওয়া যায় ওপারে। ঘুরপথে গাড়ির রাস্তাও আছে ওপারে যাওয়ার জন্য। ফেরার সময় গাড়িপথ ধরে ফিরবো। 

কিষ্কিন্ধ্যার মূল আকর্ষণ অঞ্জনা পাহাড়

ওপারে গিয়ে একটা অটো নিয়ে পৌঁছে যাই অঞ্জনা পাহাড়ের পাদদেশে। ৫৭৫ টা সিঁড়ি ভেঙে পাহাড়ে উঠতে হবে। ওঠা-নামা নিয়ে একঘন্টা লাগবে। সুন্দর বাঁধানো সিঁড়ি আছে। পাহাড়ের ওপর থেকে হাম্পির ভিউ অসাধারণ। তবে বানরের উপদ্রব আছে। 

হাম্পি ছোট্ট জায়গা। কিন্তু তারমধ্যেও কত বৈচিত্র্য। নদীর ওপারে রুক্ষ পাথুরে নিসর্গ, এপারে ধূ ধূ সবুজ। ছোট ছোট টিলার ওপর থেকে এই পাথুরে রুক্ষতা আর সবুজের শ্যামলিমা মিলেমিশে একাকার। সূর্যাস্ত হয়ে গেলে নীচে নেমে আসি। এদিকে প্রধান দ্রষ্টব্য অঞ্জনা পাহাড়। এখানেই শেষ হল হাম্পি দর্শন। অটো করেই ব্রীজ পেরিয়ে ফিরে চলি ওপারে, বিরুপাক্ষ মন্দিরের দিকের গ্রামে যেখানে আমরা আছি। সূর্যাস্তের পর বোট পারাপার বন্ধ করে দেয়। তবে পুরো কোরাকল ভাড়া পাওয়া যেতে পারে।


হসপেট থেকে অমরাবতীতেই গোয়া ১০ ঘন্টার ট্রেন যাত্রা। তাই হাম্পি-গোয়া একসাথে ঘুরে নেওয়া যায়। নাহলে হাম্পি ঘুরে চলে যাওয়া যায় বাদামী। হাম্পি-গোয়া ঘুরতে মোট ১০ দিন লাগবে আর হাম্পি-বাদামী- পাট্টাডাকাল-আইহোল ঘুরতে ৮ দিন লাগবে ট্রেনে যাওয়া আসা সব নিয়ে।

Badami Karnataka Hmapi

বাদামী | Hampi to Badami

উত্তর কর্ণাটকের বাগলাকোট জেলায় অবস্থিত বাদামী। বাদামীতে ছড়িয়ে আছে চালুক্য রাজাদের স্থাপত্যকীর্তি। পরে টিপু সুলতান দখল করেছিলেন বাদামী। বাদামীকে ঘিরে রয়েছে লালচে বেলে পাথরের অনুচ্চ টিলা। এইসব টিলার পাথর কেটেই বানানো হয়েছিল গুহা-মন্দির।

বাদামীর নিকটতম রেলস্টেশন হুবলী, দূরত্ব ১০৪ কিমি। হাম্পি থেকে বাদামীর দূরত্ব প্রায় ১৬০ কিমি, বাস চলাচল করে। সময় লাগে চার থেকে সাড়ে-চারঘন্টা। হসপেট থেকে টানা বাস দুপুর ১-৩০ টা। তাই সরাসরি বাসের অভাবে হসপেট থেকে ইলকল পৌঁছে প্রচুর বাস পাওয়া যাবে বাদামীর। রাস্তা খুবই ভালো। পৌঁছে সেদিনই বিকেলে বাদামীর কিছু দ্রষ্টব্যস্থান দেখে  নেওয়া যায়।বাকি যা থাকবে পরদিন আবার পাট্টাডাকাল-আইহোল ঘুরে এসে বিকেলে দেখে নেওয়া যায়। 

বাদামীর বাসস্ট্যান্ডের কাছেই  বেশ কয়েকটি হোটেল আছে। আর একটু ভেতরে আছে কর্ণাটক ট্যুরিজমের হোটেল চালুক্য মৌর্য্য।

বাসস্ট্যান্ডের কাছে কোনো হোটেলে থাকলে বাদামীর চারটে গুহা-মন্দির, ভূতনাথ মন্দির, ভূতনাথ লেক, মালেগিট্টি শিবমন্দির, মিউজিয়াম এইসবই হেঁটে দেখে নেওয়া যায় কারণ এগুলি একই জায়গাতে অবস্থিত। খোলা থাকে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। মালেগিট্টি পাহাড়ে গুহাচিত্র রয়েছে।

পরদিন একটা গাড়ি ভাড়া করে সকাল সকাল মহাকূটেশ্বর মন্দির দেখে চলেছি পাট্টাডাকাল-আইহোলের পথে। বাদামী থেকে পাট্টাডাকাল ১৭ কিমি। পাট্টাডাকাল থেকে আইহোল ১৯ কিমি। মোট ৩৬ কিমি।

পাট্টাডাকাল

এখানে এক জায়গায় অনেকগুলি মন্দির (Temple-Complex) একসাথে নির্মিত। দশটি মন্দিরের মধ্যে মল্লিকার্জুন ও বিরুপাক্ষ সেরা। এছাড়া সঙ্গমেশ্বর,  গলগনাথ, জম্বুলিঙ্গেশ্বর, কড়াসিদ্ধেশ্বর, পাপানাথ, চন্দ্রশেখর,  কাশীবিশ্বেশ্বর, জৈন নারায়ণ মন্দির অবস্থিত।

সপ্তম থেকে নবম শতাব্দীতে চালুক্যরাজাদের স্থাপত্যকীর্তি পাট্টাডাকালের জৈন মন্দিররাজি বিশ্ব হেরিটেজের সম্মানপ্রাপ্ত।

আইহোল

আইহোল জুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য মন্দির , মন্দিররাজি। কম সময়ে সব দেখা সম্ভব নয়। বেশিরভাগই ভগ্নাবশেষ। উল্লেখযোগ্য মন্দিরগুলি যেগুলি আমরা দেখেছিলাম তারমধ্যে দুর্গা মন্দির, লাডখান মন্দির, হুচিমল্লি গুড়ি ,  সূর্যনারায়ণ মন্দির, গৌড়া, রাবণফাড়ি গুহা-মন্দির । 

আইহোলের কর্ণাটক ট্যুরিজমের ময়ূর যাত্রীনিবাসে দুপুরের খাওয়া সেরে ফিরে আসি বাদামী। বিকেলে বাদামীর বাকি দ্রষ্টব্য দেখে ওইদিন বাদামীতেই থাকি । পরদিন বাদামী থেকে হুবলী এসে ফেরার ট্রেন ধরি , ওই একই ট্রেন অমরাবতী এক্সপ্রেস। 

কখন হাম্পি যাবেন| Best time to visit Hampi - Badami

 হাম্পি-বাদামী যাওয়ার সেরা সময় ডিসেম্বর-জানুয়ারি। এছাড়া নভেম্বর, ফেব্রুয়ারিতেও যাওয়া যায়। মার্চ থেকে বেশ গরম।

 কিভাবে কোলকাতা থেকে  হাম্পি ভ্রমণে  যাবেন| How to reach Hampi from Kolkata

শালিমার স্টেশন থেকে অমরাবতী এক্সপ্রেস (১৮০৪৭) সোম-মঙ্গল-বৃহস্পতি--শনিবার রাত 

১১-২০ তে ছেড়ে তৃতীয়দিন ভোর ৬-১৯  এ হসপেট পৌঁছয়। হসপেট থেকে হাম্পির দূরত্ব ১৩ কিমি। 

ফেরার ট্রেন ওই একই অমরাবতী এক্সপ্রেস। 

অটো/গাড়ি ভাড়া করে হাম্পি ঘুরে নেওয়া যায়। 

(হসপেট থেকে গোয়া ১০ ঘন্টার ট্রেন যাত্রা, অমরাবতী এক্সপ্রেসেই। )

হসপেট থেকে বাদামী ১৬০ কিমি বাস যায়। ফেরার ট্রেন হুবলী থেকে অমরাবতী এক্সপ্রেস। 

বাদামীর দ্রষ্টব্য আমরা পায়ে হেঁটেই দেখেছিলাম। 

বাদামী থেকে পাট্টাডাকাল,  আইহোল ঘোরার জন্য গাড়ি ভাড়া করতে হবে। 


এছাড়া প্লেনে এলে ব্যাঙ্গালোর থেকে  হাম্পির দূরত্ব ৩৪১ কিমি। হুবলীতেও ডোমেস্টিক এয়ারপোর্ট আছে। 


হাম্পি - বাদামীতে কোথায় থাকবেন । Hotel/Resort at Hampi - Badami , Karnataka

কর্ণাটক ট্যুরিজমের হোটেল/রিসোর্ট আছে হাম্পিতে । হাম্পি গ্রামের গেস্ট-হাউসগুলোতে সাধারণ থাকা-খাওয়া। গেস্টহাউসগুলি বিরুপাক্ষ মন্দিরের আশেপাশে। মন্দির চত্বর বলে এখানে নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়। হাম্পি গ্রামের ম্যাঙ্গো-ট্রি-রেস্টুরেন্ট বেশ ভালো। এছাড়া নদীর ওপারে আনেগুন্ডি অর্থাৎ প্রাচীন কিষ্কিন্ধ্যায় থাকা যায় হিপি-আইল্যান্ডে। এদিকে বিদেশীরা বেশি থাকে বলে এই নাম।

বাদামীতে কর্ণাটক ট্যুরিজমের হোটেল চালুক্য মৌর্য্য, আইহোলে ময়ূর যাত্রী নিবাস। বাদামীতে বাসস্ট্যান্ডের কাছে বেশকিছু বেসরকারি থাকার জায়গা আছে।

আরও পড়ুনঃ উত্তরাখন্ড ভ্রমণ গাইড 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন