ল্যান্ডরোভারে সান্দাকফু ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত | Sandakphu Tour Plan

 সান্দাকফু (Sandakphu) ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত

সিঙ্গলীলা রেঞ্জের প্রায় ১২০০০ ফুট উঁচু শৃঙ্গ সান্দাকফু (Sandakphu) ট্রেকিং একটি অদ্ভুত রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। 

Sandakphu Tour Plan

মেঘাচ্ছন্ন মানেভঞ্জন

শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে শেয়ার জিপে সুখিয়া হয়ে মানেভঞ্জন পৌঁছতে প্রায় পাঁচ ঘন্টা লাগে। উত্তরবঙ্গের এই জায়গাগুলোর মধ্যে অদ্ভুত এক মাদকতা আছে। সবসময়ই যেন ভালো লাগে। এসে থেকেই মেঘলা-বৃষ্টিতে জবুথবু মানেভঞ্জন। তারমধ্যেই এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি। সামনেই একটা গাছ থোকা থোকা সাদা ম্যাগনোলিয়া ফুলে ভোরে গেছে। রাস্তার এপারে ভারত, ওপারে নেপাল। সিঁড়ি ভেঙে মন্দির ও গুম্ফা ঘুরতে না ঘুরতেই প্রায় সন্ধ্যে। গরম মোমো কফি আর বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে পাহাড়ে যেন অন্যরকম আবেশ এনে দেয়। ক্রমশঃ রাত নামে। একটা সুন্দর সকালের অপেক্ষায় ঘুমিয়ে পড়ি।

আরও পড়ুনঃ অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প ট্রেকিং, নেপাল-পর্ব ১

সিন্ডিকেট থেকে ল্যান্ডরোভার

সকালে উঠে যখন দেখলাম সেই ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি আর আরো ঘন মেঘের আস্তরণে কিছুটা দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছেনা তখন সত্যিই দমে গেলাম। ভাবলাম এমন সময় কিজন্য এলাম। এখন মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। এখন বুঝি সান্দাকফু যাওয়ার সঠিক সময় নির্বাচন হয়নি।কিন্তু এসেছি যখন কি আর করবো যেতে তো হবেই। অগত্যা সিন্ডিকেট থেকে ল্যান্ডরোভারের ব্যবস্থা করতে গেলাম। আমাদের হোটেলের মালিক মাস্টারজি কিছুটা ভরসা দিলেন। উনি বললেন, এটা উপত্যকার মেঘ, কেটে যাবে ওপরে ভালো আবহাওয়া পাবে। যাইহোক, ল্যান্ডরোভারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে ফেসবুকে আলাপ হওয়া কিছু বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেল। মনটা হঠাৎ করেই বেশ ভালো লাগলো। ওরা তিনজন, আমরা তিনজন। মোট ছয়জন ল্যান্ডরোভারের জন্য আদর্শ। প্রাতঃরাশ সেরে আমরা তৈরি আর চকচকে টিনের বাক্সের মতো লজঝড়ে ল্যান্ডরোভারও তৈরি।

গাড়িতে করে সান্দাকফু যাওয়া যাবে কি?

ঐতিহাসিক ল্যান্ডরোভারে যাত্রা শুরু 

 মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু ৩২ কিমি। হেঁটেও যাওয়া যায়। কিন্তু যে রাস্তায় গাড়ি চলে সে রাস্তা হেঁটে যেতে আমার ভালো লাগেনা। ল্যান্ডরোভারে সান্দাকফু পৌঁছতে প্রায় চার ঘন্টা সময় লাগে। একরাত থাকা, ওঠা-নামা নিয়ে ল্যান্ডরোভারের ভাড়া ৭০০০ টাকা। মানেভঞ্জন থেকে চিত্রে ৩ কিমি, ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট জায়গা। মালপত্র সমেত মুড়ির টিন বোঝাই গাড়ি গাঁক  গাঁক করে চড়াই ভাঙছে। দেখতে যতটা মন্দ, তেজে ততটাই চাঙ্গা। চারপাশ সতেজ, সজল, সবুজে অপূর্ব সুন্দর। চিত্রে থেকে লামেধুরা হয়ে মেঘমা ৫ কিমি। মেঘমা নাম সার্থক। সারাক্ষণ যেন মেঘেদের ছুটোছুটি লেগেই আছে। কখনো হু হু করে ছুটে এসে সব ঢেকে যায় আবার কখনো পরিস্কার হয়ে নরম রোদ্দুরে ভরে যায়।

এখানে মিলিটারি ক্যাম্প আর একটি মনাস্ট্রি আছে। সবাইকে এখানে নাম স্বাক্ষর করতে হয়। বাঁদিকে অল্প দূরেই তুমলিং। কিন্তু গাড়ি চলল ডানদিকের চড়াই পথে টংলু। বাঁদিকে নেপাল, ডানদিকে ভারত। এদিকে নেপালের সিমই বেশি চলে। বেশ মজার ব্যাপার! এটাই এই যাত্রাপথের বাড়তি মজা। গাড়ি এক নিঃশ্বাসে টংলুর টঙে উঠে আবার গড়িয়ে নামতে লাগল। বাঁ পাশে পড়ে রইল ট্রেকার্স হাট। এবার একটানে গড়িয়ে তুমলিং। হেঁটে তুমলিং আসতে চাইলে দার্জিলিং থেকে গাড়িতে ধোতরে এসে ৬ কিমি হেঁটে টংলু পৌঁছনো যায়। এপথও বড়ো মনোরম। পরিস্কার, মেঘমুক্ত দিনে ধোতরে, টংলু, তুমলিং সবজায়গা থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা মনোমুগ্ধকর।

তুমলিং থেকে গৈরিবাসে নেমে সাময়িক চা বিরতি। গৈরিবাসেও মিলিটারি চেকপোস্ট। নামগুলো কেমন ঝিম ধরায়, জায়গাগুলোও ঠিক তেমনি। গৈরিবাসের পর থেকে বাকি ১৪ কিমি রাস্তা পুরোটাই প্রায় ঝাঁকুনি খেতে খেতে যাওয়া। ল্যান্ডরোভারে কমফর্ট বলে কোনো বস্তু নেই! কমফর্ট চাইলে বোলেরো। এখন বোলেরোও চলছে এই পথে। ভাড়া কিছুটা বেশি। যাওয়া-আসা নিয়ে দিনপ্রতি ৮,৫০০ টাকা। তবে এই ঐতিহাসিককালের ল্যান্ডরোভার সফর এক চিরস্মরণীয় অভিজ্ঞতাও বটে। কোন কোন জায়গা বেশ চড়াই। পথের ধারে লাল রডোডেনড্রন সবে ফুটেছে। বেশিরভাগই কুঁড়ি-- ফোটার অপেক্ষায়। অন্যান্য ফুলের শোভাও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তারমধ্যে এইসময় সাদা আর গোলাপী ম্যাগনোলিয়ার সম্ভার দেখার মতো। পাখির ডাক, মেঘেদের আনাগোনা সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ্য যাত্রা। আবার কালিপোখরিতে চা-ম্যাগি বিরতি। এরপর বিকেভঞ্জন হয়ে সান্দাকফু।

 সান্দাকফু কোথায় অবস্থিত

Sandakphu Tour Plan

বরফের চাদর জড়িয়ে সান্দাকফু

সান্দাকফুতে যে গতকাল রাতে এবং সারাদিন ভালোই বরফ পড়েছে তা পৌঁছেই বোঝা যাচ্ছে। পথের দুধারে বরফ। বরফে আর মেঘে সান্দাকফু সাদা হয়ে আছে। চারদিক ঝাপসা। এখানে শেরপা চ্যালেট, সানরাইজ ছাড়া আরো দু-একটা সাধারণ হোটেল আর ট্রেকার্স হাট আছে। আমরা সানরাইজে থাকার ব্যবস্থা করে বেরিয়ে পড়লাম বরফমোড়া সান্দাকফুকে ঘুরে দেখার জন্য। গাছে গাছে বরফের শিল্প এক-একটা এক-এক রকম। অদ্ভুত অনুভূতি! মাত্র চারঘন্টায় আমরা যেন আইসল্যান্ডে চলে এলাম! ঘুরতে ঘুরতে আবার তুষারপাত শুরু। মেঘের গর্জন। ক্রমশঃ তীব্র বেগে তুষারপাত। এবার ঘরে না ফিরে উপায় নেই।

ফিরে চা পানের আসরে আড্ডা গল্প। আরো কিছু বন্ধুর সাথে আলাপ হৈ হৈ। বাইরে চলছে প্রবলবেগে তুষারপাত আর ঝড়। প্রায় সারারাত এমন চলল। সকালে উঠে দেখলাম ধবধবে সাদা আস্তরণে ঢাকা সান্দাকফু। রাতের তান্ডব শান্ত হয়েছে। মাঝে মাঝে রোদ্দুর উঠে ঝলমল করছে, আবার মেঘের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। এ-ও কি আমাদের রাজ্য! পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম স্থান! ভাবতেই অবাক লাগছে! পাশেই নেপাল, নেপালের পাহাড়ি ঢাল, ঘরবাড়ি সবই দৃশ্যমান। তারমধ্যেই জুতো মোজা ভিজিয়ে বেশ ঘোরাঘুরি হলো বরফে। সারাদিন আর তুষারপাত হয়নি। বরফ কিছুটা গলে গেছে। বিকেলের দিকে ঠান্ডার তীব্রতা ক্রমশঃ বাড়ছে।

পাহাড় মানে শুধু তুষারশৃঙ্গ নয়

সন্ধ্যায় আকাশ পরিস্কার হয়ে তারা ফুটে উঠল। আনন্দে সবাইমিলে নাচ-গান শুরু হয়ে গেল।  আগামীকাল অন্যরকম একটা ভোর দেখার  আশায় ঘুম আসতেই চাইছে না। সান্দাকফু যা দিয়েছে গতকাল থেকে আজ অবধি তাতেই আমাদের ষোলোকলা পূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা আপ্লুত, উচ্ছ্বসিত! এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে না পাওয়ার জন্য সত্যিই তেমন কোনো দুঃখ অনুভূত হচ্ছিল না।

এখানে একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে। অনেক সময়ই শুনি কেউ কেউ বলেন, "ভিউ দেখতে পেয়েছেন?" জিজ্ঞাসা করি , "কিসের ভিউ?" পাহাড়ের ভিউ, মানে তুষারাবৃত পাহাড়---- এভারেস্ট, মাকালু, কাঞ্চনজঙ্ঘা প্রভৃতি। আমরাও তো পাহাড়েই আছি আর প্রায় ১২,০০০ ফুট উচ্চতায়। বরফের মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছি। তবুও দূরের বরফাবৃত নামী শৃঙ্গগুলির স্বর্গীয় শোভা মনে আলাদা একটা শিহরণ জাগায় বৈকি! দেখতে না পেলে কি যেন একটা হলো না সেটা মনে হয়। কিন্তু পাহাড় মানেই শুধু বরফাবৃত শৃঙ্গ নয়। পাহাড় মানে সবুজ ঢালে রোদ্দুরের লুটোপুটি, হঠাৎ মেঘেদের ভিড়, বৃষ্টি এইসব কিছু। এবং আরো অনেক কিছু। তাই দূরের তুষারশৃঙ্গ দেখতে না পেলে ভ্রমণ ব্যর্থ ভাবাটা বড়োই বোকামি।

এক অভূতপূর্ব সকালের সাক্ষী

সকাল হলো। ঘর থেকে বেরিয়ে যা দেখলাম! গতকালের অভিজ্ঞতা আমাদের কাণায় কাণায় পূর্ণ করে তুলেছে তারপর সকালের এই দৃশ্য যেন সব আনন্দ দ্বিগুণ করে দিলো! এভারেস্ট, মাকালু, লোৎসে   প্রভৃতিসহ সমগ্র এভারেস্ট পরিবার, এদিকে পাণ্ডিম, কাঞ্চনজঙ্ঘা, কুম্ভকর্ণ সহ ঘুমন্ত বুদ্ধ সবাই যেন আমাদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় ব্যস্ত! ঝলমলে অপরূপ একদিন। অনাস্বাদিতপূর্ব এক সূর্যোদয়। নীচের বরফ অনেকটা গলে গেছে, চড়া রোদ্দুর উঠেছে। ঠান্ডা অনেক কম। হিমালয়ের তুষারাবৃত শৃঙ্গগুলি সব এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত স্বমহিমায় ভাস্বর হয়ে উঠেছেন। আহা কি দেখালে প্রভু! এ কি দৃশ্য! বেশ দুঘন্টা এমন ঝলমলে শোভা উপভোগ করার পর আবার মেঘের ঘনঘটা শুরু হল। এতোটুকু না পাওয়া আর রইল না। পাওয়ার ঝুলি উপচে পড়ছে। সব দিয়েছে সান্দাকফু আমাদের। শীত, বসন্ত, বর্ষা, শরৎ প্রায় সব ঋতুর যা যা শোভা তা এই তিনদিনেই দেখা হয়ে গেলো। এবার নামতে হবে নীচে।

ল্যান্ডরোভারে সান্দাকফু ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত | Sandakphu Tour Plan

ফিরে চলা

যাঁরা হাঁটাপথে মানেভঞ্জন, তুমলিং হয়ে সান্দাকফু আসেন, তাঁরা শ্রীখোলা -রিম্বিক হয়ে ফিরে যান। অথবা আরো ২১ কিমি দূরত্বে ফালুটের পথ ধরেন। মাঝে পড়ে সবরগ্রাম। পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় উচ্চতম স্থান ফালুট আর সবরগ্রাম হল তৃতীয় উচ্চতম স্থান। সান্দাকফু থেকে ল্যান্ডরোভারেও ফালুট যাওয়া যায়। আমাদেরও পরিকল্পনা প্রথমে তেমনই ছিল কিন্তু এতো তুষারপাতের ফলে ল্যান্ডরোভারে ফালুট যাওয়া সম্ভব নয় তাই ওই অতিরিক্ত দিন আমরা সান্দাকফুতেই থেকে যাই।

এছাড়া আরো একটা কারণ ছিল থেকে যাওয়ার। গতকাল এতোই বরফ ছিলো যে সান্দাকফু থেকে মানেভঞ্জন যেতে হলে আমাদের মালপত্র নিয়ে বিকেভঞ্জন পর্যন্ত ৩ কিমি হেঁটে নামতে হতো। অবশ্য তাতে আমাদের শাপে বর হয়েছে। গতকাল ফিরে গেলে সান্দাকফুর এমন স্বর্গীয় শোভা দেখতে পেতাম না। ল্যান্ডরোভারে সান্দাকফু-ফালুট গেলে একই পথে ফিরতে হবে। হেঁটে গেলে অনেক বিকল্প আছে অন্য পথে ফেরার। ফালুট থেকে ১৫ কিমি নেমে গোর্কে হয়ে আরো প্রায় ৩ কিমি সিকিমের ভারেং হয়ে শিলিগুড়ি।

ফেরার সময় অর্থাৎ নীচে নামার সময় ল্যান্ডরোভারে ঝাঁকুনি আরো বেশি মনে হলো। আবার কালিপোখরি দেখে, গৈরিবাসে চা পান করে তুমলিং। তুমলিং এ একরাত থাকার পরিকল্পনা নিয়েই এসেছিলাম। তুমলিং ও অপূর্ব সুন্দর একটা জায়গা। তুমলিং এ কয়েকটি ভালো হোমস্টে আছে। শিখর লজ, সিদ্ধার্থ লজ, মাউন্টেন লজ প্রভৃতি। পরিস্কার আকাশে এখান থেকেও ঘুমন্ত বুদ্ধের রূপ মোহিত করে। সামনেই একটু উঁচুতে টংলু। তারপর ফিরে চলা মানেভঞ্জন হয়ে শিলিগুড়ি।

সান্দাকফু ভ্রমণ খরচ

জেনে রাখুন

  • *সান্দাকফুর উচ্চতা প্রায় ১২,০০০ ফুট।
  • *সান্দাকফুতে জলের অভাব আছে। তাই গাড়িতে গেলে মানেভঞ্জন থেকে কিছুটা খাওয়ার জল নিয়ে যেতে পারলে ভালো।
  • *শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে সুখিয়া হয়ে মানেভঞ্জন যাওয়ার শেয়ার জিপ পাওয়া যায়।
  • *যাত্রাপথের শুরুতে সিঙ্গালীলা ন্যাশনাল পার্কে ঢোকার জন্য জনপ্রতি ১২০ টাকা একরাতের জন্য এবং গাড়ির জন্য ৪০০ টাকা দিয়ে অনুমতিপত্র সংগ্ৰহ করতে হয়।
  • *মানেভঞ্জন থেকে ল্যান্ডরোভারে গেলে একরাত থাকা নিয়ে যাওয়া আসার খরচ ৭,০০০ টাকা। বোলেরো তে গেলে কিছুটা বেশি লাগে ৮,৫০০ টাকা। এছাড়া প্রতি রাতের জন্য ১৫০০ টাকা করে যোগ হবে। ল্যান্ডরোভারে গেলে গাইড লাগে না।
  • *সান্দাকফুতে থাকা-খাওয়ার খরচ একদিনে একজনের প্রায় ১৫০০-২০০০ টাকা।
  • *অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস সান্দাকফু যাওয়ার উপযুক্ত সময়।

যাত্রাপথের দূরত্ব মোটামুটি এইরকম| Distance betwwen

  • মানেভঞ্জন থেকে চিত্রে ৩কিমি | Manebhanjan to Chitre 3 K.M.
  • চিত্রে থেকে তুমলিং ১১ কিমি |
  • তুমলিং থেকে গৈরিবাস ৪ কিমি
  • গৈরিবাস থেকে কালিপোখরি ৭ কিমি..
  • কালিপোখরি থেকে বিকেভঞ্জন ৪ কিমি.
  • বিকেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু ৩ কিমি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন